চাওয়া পাওয়া নিয়ে উক্তি, জীবনের চাওয়া পাওয়া নিয়ে উক্তি, চাওয়া পাওয়া নিয়ে কবিতা, দূর নিয়ে উক্তি, প্রত্যাশা নিয়ে উক্তি, প্রত্যাশা নিয়ে কবিতা, প্রত্যাশা কাকে বলে,চাওয়া পাওয়া নিয়ে ইসলামিক উক্তি, চাওয়া পাওয়া নিয়ে হাদিস.
চাওয়া পাওয়া নিয়ে উক্তি.
চাওয়া নিয়ে উক্তি
আপনি যদি চাওয়া নিয়ে উক্তি খোঁজ করে থাকেন। তাহলে আজকের এই পোস্টে থাকা উক্তিগুলো সংগ্রহ করে নিন। আমরা এই পোস্টে কিছু চাওয়া নিয়ে উক্তি তুলে ধরেছি। আশা করি এই উক্তি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আপনি যদি কিছু পেতে চান, তাহলে আপনাকে তার যোগ্য হতে হবে। পৃথিবীতে এখনো এমন কোন পাগলের জায়গা নয় যে একগাদা অযোগ্য মানুষকে পুরস্কৃত করতে পারে।
— চার্লস টি. মুঙ্গের
যখন আপনার একটি স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়ে যায় তখন আরেকটি স্বপ্ন দেখুন। আপনি যা চান তা পেয়ে যাওয়া একটি সমস্যায় পরিণত হতে পারে, যদি এরপর আপনার যাওয়ার জন্য পরবর্তী কোন জায়গা না থাকে কোন জায়গা না থাকে। স্বপ্ন দেখা একটি আজীবন চলমান কাজ।
— রুডি রুয়েটিগার
আশা কখনো তোমাকে ছাড়ে না, বরং তুমিই তাকে ছেড়ে দাও”
– জর্জ উইনবার্গ
পৃথিবীর সব বড় অর্জনগুলো সেইসব মানুষের দ্বারা হয়েছে, যারা কোনও সম্ভাবনা না দেখার পরও আশা নিয়ে চেষ্টা করে গেছে”
– ডেল কার্নেগী
সত্যিকার আশা হলো হতাশার মাঝে আশা করতে পারার ক্ষমতা। যখন সবকিছু ভালো চলছে, তখন আশা এমনিতেই আসে। কিন্তু খারাপ অবস্থায় আশা করতে পারলেই আশার আসল ক্ষমতা টের পাওয়া যায়”
– জি.কে চেস্টারটন
চাওয়া নিয়ে কিছু কথা
আপনি যদি আপনার জীবনের চাওয়া পূরণ করতে চান তাহলে আপনি কর্মঠর হন। আপনি যত কর্মঠর হবেন তত আপনি আপনার এগিয়ে যেতে পারবেন। এবং সফলতা অর্জন করতে পারবেন। অনেকেই চাওয়া নিয়ে কিছু কথা খোঁজ করে থাকে। তাই এই পোস্টে আমরা চাওয়া নিয়ে কথা তুলে ধরেছি। আশা করি আপনাদের কাছে আজকের এই পোস্টে থাকা চাওয়া নিয়ে কিছু কথা ভালো লাগবে।
আপনি শুধু নির্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকতে পারবেন না এবং লোকেরা কখন আপনাকে একটা সোনার স্বপ্ন উপহার দেবে তার জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন না। আপনাকেই এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজের জন্য তা সম্ভব করতে হবে।
— ডায়ানা’ রস
পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টাদের প্রয়োজন এবং কর্ম সম্পাদনকারীদেরও প্রয়োজন। তবে সর্বোপরি, বিশ্বের এমন স্বপ্নদ্রষ্টাদের প্রয়োজন যারা তা বাস্তবায়ন করে।
— সারাহ বান ব্রেথনাচ
আশা হলো মানুষের কাজ করার পেছনে সবচেয়ে বড় একটি চালিকাশক্তি”
– থমাস ফুলার
মানবজাতিকে নিয়ে কখনওই আশাহত হয়োনা। মানবজাতি একটি সমুদ্রের মত। কয়েক ফোঁটা পানি দুষিত হলে পুরো সমুদ্র দুষিত হয় না”
– মহাত্মা গান্ধী
আমি মূলত একজন আশাবাদী মানুষ। আমার এই স্বভাব জন্মগত আবার চর্চাগত। আশাবাদী মানে আমি সব সময়ে আলোর দিকে মুখ ফিরিয়ে থাকি, এবং সামনের দিকে চলি”
– নেলসন ম্যান্ডেলা
তুমি হয়তো জীবনে বহুবার হারবে। কিন্তু কখনওই জেতার আশা করা বন্ধ করো না”
– মায়া এ্যাঞ্জেলোউ
ভালো কিছু থেকে ব্যর্থ হওয়া মানে জীবন ব্যর্থ নয়, হয়তোবা তুমি আরও ভালো কিছুর দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে আছ”
– সংগৃহীত
যতক্ষণ না তুমি অতীতকে ভুলে যাচ্ছ, যতক্ষণ না তুমি ক্ষমা করতে পারছ, যতক্ষণ না তুমি মেনে নিচ্ছ অতীত চলে গেছে – ততক্ষণ তুমি নিজের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছ না”
– স্টিভ ম্যারাবোলি
চাওয়া নিয়ে স্ট্যাটাস
আপনি যদি আপনার ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য চাওয়া নিয়ে স্ট্যাটাস খোঁজ করে থাকেন। তাহলে আজকের এই পোস্টে থাকা স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে নিন। আমরা এই পোস্টে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জন্য কিছু বাছাই করা স্ট্যাটাস তুলে ধরেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আপনি যা চান তা না পাওয়ার অর্থ হলো, হয় আপনি এটি চাওয়ার মত চাননি, অথবা তা পাওয়ার জন্য যে মূল্য দিতে হবে তা নির্ধারণ নিয়ে আপনি অনেক বেশি সময় ব্যয় করে ফেলেছেন।
— রুডইয়ার্ড কিপলিং
কোন কিছু করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো যেকোনো ভাবে তা করে ফেলা।
— আমেলিয়া ইয়ারহার্ট
শুধু সামনে এগিয়ে যাও। কে কি বলছে – তাতে কান দিও না। নিজের ভালোর জন্য যা করতে হবে, করতে থাকো”
– জনি ডেপ
যদি উড়তে না পার, তবে দৌড়াও; যদি দৌড়াতে না পার, তবে হাঁটো; হাঁটতে না পারলে হামাগুড়ি দাও। যে অবস্থাতেই থাকো, সামনে চলা বন্ধ করবে না”
– মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র
মানুষ সব সময়েই ছাত্র, মাস্টার বলে কিছু নেই। এটা যে বুঝবে – সে সব সময়ে সামনে এগিয়ে যাবে”
– কনরাড হ্যাল
যারা শুদ্ধ বিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়, তারা একদিন সবকিছুই ঠিক হতে দেখে”
– গর্ডন হিংকলি
পাওয়া নিয়ে ক্যাপশন
অনেকের ফেসবুকে ক্যাপশন দেওয়ার জন্য ভালো ক্যাপশন খোঁজ করে থাকে। আপনি যদি আপনার ফেসবুকে ক্যাপশন দেওয়ার জন্য পাওয়া নিয়ে ক্যাপশন খোঁজ করে থাকেন। তাহলে আজকের এই পোস্টে থাকা ক্যাপশন গুলো সংগ্রহ করে নিন। আমরা ফেসবুকে ক্যাপশন দেওয়ার জন্য কিছু ভালো ক্যাপশন তুলে ধরেছি। ক্যাপশন গুলো নিজে দেয়া হয়েছে সংগ্রহ করে নিন।
স্বাচ্ছন্দ্যের বর্ধিত পরিসর এবং আপনি যা চান তা পাওয়ার মধ্যে একটি সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
— টিম ফেরিস
আমি এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে জীবন ঠিক ততটাই পরিবর্তিত হয় যতটা আপনি চান।
— মার্টিন ফ্রিম্যান
জীবন হতে পারে চমৎকার, যদি আপনি একে ভয় না পান। এজন্য প্রয়োজন সাহস, কল্পনা শক্তি ও অল্প কিছু টাকাকড়ি।” – চার্লি চ্যাপলিন
জীবন বাই সাইকেল চালানোর মতো একটা ব্যাপার, পড়ে যেতে না চাইলে তোমাকে সামনে চলতে হবে।” – আইনস্টাইন
জীবন যেমনই কঠিন হোক না কেন, অবশ্যই এমন কিছু আছে যা তুমি করতে পারবে এবং সে কাজে তুমি সফল হবে।” – স্টিফেন হকিং
জীবন সহজ নয়, জটিলও নয়, জীবন জীবনের মতো। আমরাই একে সহজ করি জটিল করি।” – হুমায়ূন আহমেদ
জীবন বিস্ময়কর হতে পারে, যদি মানুষ একা আপনাকে ছেড়ে দেয়।” – চার্লি চ্যাপলিন
পাওয়া নিয়ে কবিতা
পাওয়া নিয়ে কবিতা অনেকেই সংগ্রহ করতে চায়। তাই আমরা এই পোস্টে পাওয়া নিয়ে কবিতা তুলে ধরেছি। আশা করি আজকের এই পোস্টে থাকা কবিতাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কবিতাটির সাথে দেওয়া হয়েছে সংগ্রহ করে নিন।
হারিয়ে পাওয়া
– সুকুমার রায়
ঠাকুরদাদার চশমা কোথা ?
ওরে গণ্শা, হাবুল, ভোঁতা,
দেখ্না হেথা, দেখ্না হোথা- খোঁজ না নিচে গিয়ে ।
কই কই কই? কোথায় গেল ?
টেবিল টানো, ডেস্কও ঠেল,
ঘরদোর সব উলটে ফেল- খোঁচাও লাঠি দিয়ে ।
খুঁজছে মিছে কুঁজোর পিছে,
জুতোর ফাঁকে, খাটের নিচে,
কেউ বা জোরে পর্দা খিঁচে- বিছনা দেখে ঝেড়ে-
লাফিয়ে ঘুরে হাঁফিয়ে ঘেমে
ক্লান্ত সবে পড়্ল থেমে,
ঠাকুরদাদা আপনি নেমে আসেন তেড়েমেড়ে ।
বলেন রেগে, “চশমাটা কি
ঠাং গজিয়ে ভাগ্ল নাকি ?
খোঁজার নামে কেবল ফাঁকি- দেখছি আমি এসে !”
যেমন বলা দারূণ রোষে,
কপাল থেকে অম্নি খ’সে
চশমা পড়ে তক্তপোশে- সবাই ওঠে হেসে
চাওয়া নিয়ে কবিতা
আপনি যদি চাওয়া নিয়ে কবিতা খোঁজ করে থাকেন। তাহলে আজকের এই পোস্টে থাকা কবিতাটি সংগ্রহ করে নিন। আমরা এই পোস্টে চাওয়া নিয়ে কবিতা তুলে ধরেছি। আশা করি এই কবিতাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
অপূর্ণ চাওয়া পাওয়া
– আশরাফুল ইসলাম শিমুল – ইচ্ছেখুশী
“তবুও কিছু চাওয়া থেকেই যায় অবশিষ্ট জীবনে জন্য
হারিয়ে পেয়েছি অনেক তবুও হারানো একান্ত।
হাজারো ক্রন্দন লেপটে আছে শরীরের ক্ষত স্থানে
ভুলে গেছি সুখের আন্তর্জালে কিছু স্মৃতি।
সুস্পষ্ট বেদনার দগ্ধ কোলাহলে তৃপ্ত হাহাকার।
তবুও হারানো চাওয়া আর বিভীষিকা একত্রে তৈরি করে চলেছে সংকীর্ণ বসবাস।
তবুও কিছু চাওয়া পাওয়া থেকেই যায় অবশিষ্ট জীবনে,
অতীতকে কুড়িয়ে নিয়ে চলতে হয় তবুও ভবিষ্যৎতে
চাওয়া পাওয়া
লেকের ধারে একা একা চুপ করে বসে থাকা রাত্রির পাশে গিয়ে বসলো মৃগাঙ্ক। রাত্রি তাকে দেখেও না দেখার ভান করতে সে বলল , “কিরে রাত্রি মন খারাপ ? কারোর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না ?”
রাত্রি মৃগাঙ্কর দিকে না তাকিয়েই উত্তর দিল “বলতে পারিস।”
মৃগাঙ্ক : কেন ? মন খারাপ কেন তোর ? কেউ কিছু বলেছে ?
রাত্রি : সবসময় কেউ কিছু বললেই বুঝি মন খারাপ হয় ?
মৃগাঙ্ক : বুঝলাম। তা মন খারাপের কারণ যখন বলবি না ,তখন অন্য কথা বলি,ভালো না লাগলে বলিস চলে যাবো।
রাত্রি : পৃথিবীর সব মেয়ের মন ভালো করার গুরু দায়িত্ব বুঝি তোর উপর ?
মৃগাঙ্ক হেসে বলল : আগে পাশে বসে থাকা মেয়েটার মন ভালো করার চেষ্টাতে তো সফল হই তারপর না হয় বাকিদের কথা ভাবা যাবে।
রাত্রি : আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেছিস কিরকম মেঘ করে এসেছে ! এখনি বৃষ্টি নামবে মনে হয়।
মৃগাঙ্ক : যাক ,আমি না পারলেও বৃষ্টি তোর মন ভালো করে দেবে ,আর সকলের মত তুইও নিশ্চই বৃষ্টি ভিজতে ভালোবাসিস ?
রাত্রি : না।
মৃগাঙ্ক : তোর বৃষ্টি ভিজতে ভালো লাগে না ?
রাত্রি : বৃষ্টিতে ভেজা কাপড়ে মাইলের পর মাইল হাঁটার সময় অজস্র লোভী চোখের লালসাময় দৃষ্টির শিকার হয়েছিস কখনো ? যদি হতিস তাহলে ওই কাব্যিক ভালবাসার বদলে যা থাকতো তা হলো শুধুই দুঃস্বপ্ন।
মৃগাঙ্ক কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল : আচ্ছা ওই ফুল টা কিরকম অন্যরকম দেখ,তুলে নিয়ে আসবো তোর জন্য?
রাত্রি : না। তোর ভালো লাগলে তুই রাখ , আমি তার সৌন্দর্যের যোগ্য কদর করতে পারবো না।
মৃগাঙ্ক : তোকে বুঝি ফুল ও আনন্দ দেয় না ?
রাত্রি : না , আমার পাওয়া সব ফুলের মধ্যে প্রেরকের সুপ্ত বাসনার স্বার্থ ফুলের সৌন্দর্য অব্দি আমাকে কখনো পৌছাতে দেয়নি।
মৃগাঙ্ক (হেসে) : আমাকেও তাহলে তুই সেই দলেই ফেলিস।
রাত্রি : তা নাহলেও অনেকদিনের ভালো না লাগার অভ্যেস হঠাৎ কি করে বদলাই বল ?
মৃগাঙ্ক : রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনবি ? ভয় নেই আমি গাইব না ,মোবাইলে বাজাবো।
রাত্রি : একদম না, জমা মনখারাপ কে মুহুর্তে চোখের জলে রুপান্তরের কৌশল রবীন্দ্রনাথের থেকে ভালো কেউ জানে না।
মৃগাঙ্ক: তবে আর কি ! বারবিকিউ চিকেনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে ,চল এবার ,খাবি তো ?
রাত্রি : না ,এখন আমার চিকেন খেতে ইচ্ছা করছে না ,তুই গিয়ে বাকিদের সাথে খাওয়া দাওয়া কর ,এভাবে আমার কাছে বসে পিকনিকের আনন্দ নষ্ট করিস না।
মৃগাঙ্ক: চিকেন আমারও বিশেষ পছন্দ নয় ,তার বদলে যদি মায়ের হাতের মুড়ি ঘন্ট হতো আহা ! আমাকে বিদায় করার তোর এতক্ষণের চেষ্টা আমি নিজের অজান্তেই সফল করে দিতাম।
রাত্রি হেসে বলল : আর তার সাথে আমার মায়ের হাতের আলু বড়ি দিয়ে তৈরী সাদা সুক্ত যা আমাকে কিছুতেই এখানে একা একা বসে থাকতে দিত না।
মৃগাঙ্ক: তুই ঠিক আমার মতই পেটুক গোছের।
রাত্রি হেসে বলল : তোর থেকে অনেক অনেক বেশী। জিরো ফিগারের হাতছানি আমি অবলীলায় উপেক্ষা করলেও থালা ভরা রঙ বেরঙের মিষ্টি র স্বপ্ন মাঝরাতে আমার ঘুম ভাঙিয়ে ঠিক ফ্রিজের দরজার সামনে দাড় করিয়ে ছাড়ে।
মৃগাঙ্ক (সজোরে হেসে ) : যা বললি তারপর এই প্রশ্ন টা সত্যি অপ্রয়োজন ,তবুও করছি ,তুই বুঝি মিষ্টি খেতে খুব ভালোবাসিস ?
রাত্রি : ভীষণ ।আমার বাবার তো মিষ্টির দোকান ,স্কুলের গরমের ছুটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল রাত জেগে সবার সাথে মিষ্টি বানানো, তার মধ্যে ক খানা যে সবার অগোচরে মুখে পুরে ফেলতাম তার হিসেব সত্যি কখনো করিনি।
মৃগাঙ্ক : কিছু হিসাব বোধ হয় না করাই ভালো নাহলে যোগ বিয়োগের সীমাবদ্ধতা সকলের দৃষ্টিগোচর হয়ে যাবে।
রাত্রি : একদম ঠিক। ছোটবেলার বেহিসাবী মন আর নিশ্চিন্ত ঘুমের রাতগুলোর জুরি মেলা ভার।
মৃগাঙ্ক : আচ্ছা তুই লক্ষী পুজোতে আল্পনা দিয়েছিস কখনো ?
রাত্রি : কতবার দিয়েছি কিন্তু সে আল্পনায় লক্ষীর পাঁচটা আঙ্গুল হয় থেবড়ে গিয়ে আলাদা ভাবে বোঝা যেত না অথবা এতটাই দূরে দূরে থাকতো যে হঠাৎ দেখলে গোরিলার পায়ের ছাপ মনে হতে পারে।
মৃগাঙ্ক হেসে বলল : গোরিলার হলেও পা তো আঁকতে পারতিস ,আমি চেষ্টা করেও যখন পা ,ফুল ,পাতা কিছুই আঁকতে পারতাম না তখন সব জল ন্যাকরা দিয়ে মুছে দিতাম কিন্তু শোকাবার পর বুঝতে পারতাম ঠিক মত মুছতেও পারিনি , মেঝে জুড়ে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয়ে থাকা সাদা দাগ দেখে বাড়ির লোকজন আমাকে পেলেই গম্ভীর ভাবে প্রশ্ন করত ” এত সুন্দর আল্পনা কে করলো বলত টুটুল ? “
রাত্রির খিল খিল হাসি কিছুক্ষণ উপভোগ করে মৃগাঙ্ক বলল ” জানিস রাত্রি আমার কাছে মায়ের পাঠানো একটা জিনিস সবসময় মজুত থাকে যা শেষের দিকে হলেই মা নগেন কাকা কে দিয়ে আবার পাঠিয়ে দেয় ,আজও তা আছে আমার পকেটে ,তুই যদি বলিস তোকে তার থেকে ভাগ দিতে পারি। “
রাত্রি হাসি থামিয়ে বলল ” কি জিনিস রে ?”
মৃগাঙ্ক বলল : নাম বলছি না তবে ক্লু দিচ্ছি ,সেটা হল লক্ষী পূজার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
রাত্রির চোখ খুশিতে জ্বল জ্বল করে উঠলো ,পকেট থেকে বার হওয়া মৃগাঙ্কর হাতের মুঠো রাত্রি নিজের হাতে মুহুর্তে খুলে ফেলে সব কটা একসাথে মুখে পুরে চোখ বন্ধ করে বলল : আহ ! অমৃতর আরেক নাম বোধহয় নারকেলের নাড়ু ,বুঝলি মৃগাঙ্ক ?
মৃগাঙ্ক হেসে বলল : সব মন খারাপ তুই একসাথে গিলে ফেললি ?
রাত্রি চোখ বুজেই বলল : গিলে তো তোর আল্পনার গল্পের সাথেই ফেলেছিলাম ,নাড়ুর স্বাদে তা হজম হল মাত্র !